ঢাকা, শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শূন্যরেখায় দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীরা

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে কাটাঁতারের বেড়া দুই বাংলার ভাষা প্রেমীদের বন্ধন ছিন্ন করতে পারেনি। দুই বাংলার ভাষা-সংস্কৃতি এক, তাই প্রতি বছরের মতো এবারেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার ঐতিহ্য ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতেই দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্য রেখায় ছোট পরিসরে এই আয়োজনে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের সম্প্রীতি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

বুধবার বেলা ১১টায় হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় পুষ্পস্তবক বিনিময়ের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয় দুই বাংলার আয়োজকরা। একে অপরকে পুষ্পস্তবক দিয়ে জানান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা।

এসময় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতের পক্ষে বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি ও বালুরঘাট টু বাংলাদেশ ভায়া মেঘালয় করিডোর কমিটি, বাংলাদেশের হিলি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত কর্তৃপক্ষের কাছে ফুলের স্তবক হস্তান্তর করে। অপরদিকে, বাংলাদেশের হিলি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এবং সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত ভারতের ওসব সংগঠনের কাছে ফুলের স্তবক হস্তান্তর করে। এরপর তারা নিজ নিজ দেশের শহীদ বেদীতে ফুলের স্তবকগুলো অর্পণ করেন।

 

সম্প্রীতিসহ ভাষাপ্রেমীদের মেলবন্ধন অটুট রাখতে ২০১৫ সাল থেকে হিলি সীমান্তে দুই বাংলার উদ্যোগে এই আয়োজন হয়ে আসছে এবং আগামীতে আরও বড় পরিসরে সীমান্তের শূন্যরেখায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।

ভারতের উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সুরজ দাশ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবছর আমরা দুই বাংলার মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরির জন্য এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এটার পরিসর বাড়িয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে দুই বাংলার মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের বালুরঘাট টু বাংলাদেশ ভায়া মেঘালয় করিডোর কমিটির আহ্বা য়ক নবকুমার দাশ, উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সুরজ দাশ, বাংলাদেশের পক্ষে স্থানীয় হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।