ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কার মধ্যে ইসরায়েলে নিজ দেশের নাগরিক ও কর্মকর্তাদের ভ্রমণে বিধিনিষেধ জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছে, তারা তাদের কর্মীদের বৃহত্তর জেরুজালেম, তেলআবিব ও বীর শেবার বাইরে কোথাও না যাওয়ার জন্য বলেছে। খবর: বিবিসির।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে এক বিমান হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই ব্রিগেডিয়ারসহ ১৩ জন কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে এর প্রতিশোধ নেয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে ইরান। ইসরায়েল এ হামলার দায় স্বীকার না করলেও তারাই এর পেছনে ছিল বলে ব্যাপকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইরানের সমর্থনপুষ্ট ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করছে। এর পাশাপাশি লেবাননের হিজবুল্লাহসহ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বিভিন্ন ছায়া গোষ্ঠীর অনেকগুলোই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায়ই হামলা চালাচ্ছে। গাজা যুদ্ধ ওই অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলার মধ্যেই ইরানি কনস্যুলেটে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভ্রমণ বিধিনিষেধের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে যেসব ‘সুনির্দিষ্ট মূল্যায়ন’ কাজ করেছে তা প্রকাশ করবেন না তিনি।
শুধু বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে আমরা মধ্যপ্রাচ্যের এবং বিশেষভাবে ইসরায়েলের হুমকিতে থাকা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারাও ইসরায়েলে তাদের কর্মীদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে।