ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীতে নিখোঁজের ২ দিন পর মিলল তিন মরদেহ

বরিশাল: ঈদে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে নদীতে গোসল করতে নেমে পানির স্রোতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ দুই চাচাতো বোনসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের দুই দিন পর তিনজনকে উদ্ধার করা হয় বলে হিজলা ও মুলাদী ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

মৃত তিনজন হলো ঢাকার বাসিন্দা ও মুলাদী উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের গলইভাঙা গ্রামের মো. মাহমুদ হাসানের মেয়ে হাবিবা হাসান অর্পা (১৭) এবং হাসানের ছোট ভাই মো. বাবুর মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা হাফসা (১৩)।

এছাড়া মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন দক্ষিণ চর এককরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকার ফ্যান তৈরির ফ্যাক্টরির শ্রমিক মনির খানের ছেলে রায়হান খান (১১)।

মুলাদী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার নুরুল ইসলাম বলেন, গত রোববার মুলাদী উপজেলার আড়িয়াল খা নদীতে গোসল করতে যায় অর্পা ও হাফসাসহ চার বোন। স্রোতের টানে চার বোন তলিয়ে যাওয়ার সময় অদূরে থাকা মাহমুদ হাসান দুজনকে টেনে তোলেন। কিন্তু অর্পা ও হাফসা তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ঘটনাস্থল মুলাদী উপজেলার গলইভাঙ্গা ঢালী বাড়ির লঞ্চঘাট থেকে ২০০ গজ পশ্চিমে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে অর্পার মরদেহ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পশ্চিম দিকে বানীমর্দন লঞ্চঘাট এলাকায় হাফসার মরদেহ ভেসে ওঠে। একই প্রক্রিয়ায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে মরদেহ দাফনের জন্য দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে হিজলা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, ঈদে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল রায়হান। গত রোববার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির আরেকটি শিশুর সাথে গ্রামের গজারিয়া নদীর রহমানের হাট খেয়াঘাট এলাকায় যায়। তখন রায়হান নদীতে পড়ে স্রোতের টানে তলিয়ে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আইরখালী এলাকার চর থেকে রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পরিবার। কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ নিয়ে দাফন করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।