ঢাকা, সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান শহরের থেকে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ বেশি হয়েছে : বিশ্লেষক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে জার্মানির ড্রেসডেন শহরে বিতর্কিত বোমা হামলার চেয়েও গাজায় ইসরায়েলের সাত মাসের বোমাবর্ষণে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে বলে স্যাটেলাইট চিত্রের বিশ্লেষকরা বলেছেন।

স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষকরা বলেন, গাজা শহরের প্রায় ৭৫ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পাঁচটি হাসপাতাল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রতি তিনটি হাসপাতালের মধ্যে একটিরও কম আংশিক কাজ করছে। ৫৬৩টির মধ্যে ৪০৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৫৩টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ৬০ শতাংশেরও বেশি মসজিদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষক কোরি শার বলেন, বোমা হামলায় প্রথম দুই থেকে তিন মাসে সবচেয়ে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, গাজায় যে হারে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তা পূর্বে আমরা যে গবেষণা করেছি তার থেকে আলাদা। আমরা যে ম্যাপ করেছি (পরিমাপ করেছি) ক্ষয়ক্ষতি তার চেয়ে অনেক দ্রুত এবং আরও বিস্তৃত হয়েছে।

 

তিনি বলেন, এর তুলনায় ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জার্মানির ড্রেসডেনে চারটি বিমান হামলায় শহরের ভবনগুলো ৬০ শতাংশেরও কম ধ্বংস হয়েছিল। মার্কিন ও ব্রিটিশ বোমারু বিমানগুলো ৩,৯০০ টনেরও বেশি উচ্চ-বিস্ফোরক এবং দাহ্য ডিভাইস ফেলেছিল ওই শহরে যা যুদ্ধের অন্যতম বিতর্কিত কাজ বলে বিবেচ্য। শহরটির ৬.৫ কিলোমিটারেরও বেশি ধ্বংস হয়েছিল।

ইসরায়েলি বাহিনী মঙ্গলবার মিশর ও গাজা ছিটমহলের মধ্যবর্তী রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দখল করে গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ক্রসিং কমপ্লেক্স দিয়ে ট্যাংক চলছে এবং গাজায়  ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। রাফায় খুব শিগগিরই ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।