শরীয়তপুরের সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের কিরন নগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন না করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) এক রিটের শুনানিতে আদালত ৬ মাসের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এতে সন্তষ্ট প্রকাশ করেছে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা। যদিও বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল আগে থেকে।
বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের কিরন নগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে। ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৮৫০ জন ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষা গ্রহন করছে। অার এদের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যা ১৫ জন এবং বিদ্যালয়টির পরিচালন পরিষদের দায়িত্বে রয়েছে ১২জন সদস্য।
শরীয়তপুর ২ অাসনের সাবেক এমপি, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ্ব সফিকুর রহমান কিরন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এ স্কুলের নামে দেড় একর জমি দান করেছেন। এমতবস্থায় বিদ্যালয়ের নাম কিরন নগর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিবর্তে দক্ষিন তারাবুনিয়া উচ্চবিদ্যালয় নামকরনের জন্য দক্ষিন তারাবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা শাহজালাল মাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকাতে আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন পরিদর্শনে আসেন। বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে সহায়তা করার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদসহ প্রধান শিক্ষককে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এমন অবস্থায় (০৯ জুলাই) বিষয়টি আদালতের নজরে নিলে হাইকোর্ট এ নিষেধাজ্ঞা দেন।
স্থানীয় মতিউর রহমান সাগর বলেন, কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা স্কুলটির নাম পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। যদিও হাইকোর্ট ৬মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সকলের দাবী এটি যে প্রতিষ্ঠা করেছেন তার নামেই নামকরন থাকুক।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবুল ফজল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা খুশি। এরপর কেউ যেন বিধি বর্হিভুত ভাবে নাম পরিবর্তনের পায়তারা না করে।