ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জাকির নায়েকের পর এবার ভারতের টার্গেট ওয়েইসি!

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান ও হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ভারতের দ্বিতীয় জাকির নায়েক হয়ে উঠতে চলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্যই করেন আসানসোলের বিজেপির এই সাংসদ। প্রয়োজনে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির বিরুদ্ধে ভারতীয় আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নেবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

বহুল বিতর্কিত বাবরি মসজিদ নিয়ে রায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ‘অযোধ্যার বিতর্কিত জমি শর্তসাপেক্ষে দেয়া হোক হিন্দুদের। মুসলিমদের মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প জমি দেয়া হোক।’ বাবরি মসজিদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সমালোচনা করেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন। শুক্রবার তিনি টুইট করেন, ‘মসজিদ ফেরত চাই।’

শনিবার তার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন বাবুল। তিনি বলেন, ‘এআইএমআইএম প্রধান দ্বিতীয় জাকির নায়েক হতে চলেছেন। অযোধ্যার জমি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছেন তার সমালোচনায় লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করছেন। তিনি যদি আরও বেশি কথা বলেন, তাহলে তাকে চুপ করানোর আইন কেন্দ্রের কাছে আছে। ভবিষ্যতে দেশের সেই আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা করেন ওয়েইসি। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের যুদ্ধ একটু করো জমির জন্য নয়। আমরা আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই লড়াই করছি। সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে পরিষ্কার বলেছেন যে, মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করা হয়নি। তাই আমি আমার মসজিদ ফেরত চাই।’

সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির নামে। সেই অনুযায়ী তদন্তও শুরু হয়েছে। এখন দেখার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র হুঁশিয়ারির পর হায়দরাবাদের সাংসদ ওয়েইসির বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে কেন্দ্র।

নিজের বক্তৃতা নিয়ে ২০১৬ সালে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েন জাকির নায়েক। সে সময় তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও উগ্রপন্থাকে উসকে দেয়ার অভিযোগ তুলেছিল ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনসহ (আইআরএফ) ও পিস টিভি।

অভিযোগ ওঠার পর ২০১৬ সালের ১ জুলাই ভারত ছেড়ে যেতে বাধ্য হন জাকির নায়েক। ভারতে মামলা হওয়ার পর জাকির নায়েক মালয়েশিয়ায় আশ্রয় চাইলে তাকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয় তৎকালীন নাজিব রাজাক সরকার। এরপর থেকে তিনি মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া শহরে বসবাস করে আসছেন।