ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বল্প সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ: পাচ্ছে ৪ বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের ৪ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘ভর্তুকিযুক্ত’ গৃহনির্মাণ ঋণ সুবিধার আওতায় আসছেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে তারা এই ঋণের জন‌্য আবেদন করতে পারবেন। যে ৪ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এই সুবিধার আওতায় আসছে, সেগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এবং সিলেট হযরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এসইউএসটি) ও সিলেট কৃষি ইউনিভার্সিটি (সিকৃবি) ।

অর্থ বিভাগের গৃহনির্মাণ ঋণ সেলের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এর আগে সরকারি কর্মকর্তাদের গৃহনির্মাণের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ঘোষণা দেওয়ার পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও স্বল্পসুদে এই ঋণের দাবি জানান। এরই আলোকে সরকার তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকার নির্ধারিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ঋণ দিয়ে তারা স্বল্প সুদে ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন।’

অর্থ বিভাগের ‘হোম লোন সেল’সূত্রে জানা গেছে, ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ গত ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত দুই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এরমধ‌্যে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং হযরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চুক্তি করেছে। বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফিনান্স করপোরেশন ও রূপালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

এসইউএসটি’র উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (এফবিইউটিএ) ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তারা কম সুদে হারে ফ্ল্যাট কিনতে সক্ষম হবেন, এটি তাদের জন‌্য সুসংবাদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাম ও ছোট শহর থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা সর্বাধিক আর্থিক সুবিধা পাবেন।’

 

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর অর্থ সচিব আবদুল রাউফ তালুকদার স্বাক্ষরিত গৃহনির্মান ঋণ নীতি সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন। এই ঋণের সুদের হার হবে ১০ শতাংশ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ দেবে সরকার। বাকি ৫ শতাংশ ঋণগ্রহিতাকে পরিশোধ করতে হবে। একজন ঋণ গ্রহিতা সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকার ঋণ নিতে পারবেন। এই ঋণের গ্রেস পিরিয়ড হবে ছয় মাস। ২০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।