ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সমালোচনা উপেক্ষা করে শোলৎজের বিতর্কিত চীন সফর

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জার্মান চ্যান্সেলার ওলাফ শোলৎজের সঙ্গে বৈঠকের পর জার্মানির সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। বেইজিংয়ে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের পর শি বলেছেন, পরিবর্তিত এবং অস্থির এই বিশ্ব পরিস্থিতিতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

শোলৎজ দুই দেশের মধ্যে সমতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক যোগাযোগ ও প্রতিদানের সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলেন। শোলৎজ চীনকে আরও অনুরোধ করেন ইউক্রেনে বেসামরিক মানুষের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করতে তিনি যেন মস্কোর ওপর তার প্রভাব খাটান।

তিন বছর পর জি-সেভেন গোষ্ঠির তিনিই প্রথম নেতা যিনি বেইজিং সফরে গেলেন। কিন্তু শি তৃতীয় মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় নিজেকে বহাল করার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই শোলৎজের বেইজিং সফরের সিদ্ধান্ত নিয়ে জার্মানির ভেতর এবং ইউরোপের অন্যত্র বিতর্ক আর সমালোচনা শুরু হয়েছে। বার্লিনের সরকারের মধ্যে এই সফর নিয়ে নজিরবিহীন ও তিক্ত বিতণ্ডা চলছে।

হামবুর্গ বন্দরে চীনা লগ্নি নিয়ে উদ্বেগ

খবর প্রকাশ হয়েছে , চীনের একটি কোম্পানি হামবুর্গ বন্দরের একটি শিপিং টার্মিনালে অর্থ লগ্নি করতে চাইছে। সরকারের ছয়জন মন্ত্রী এই খবরে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন, এই চুক্তি হলে জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর চীনের বড় ধরনের প্রভাব তৈরি হবে। জার্মানির নিরাপত্তা বিভাগও এ বিষয়ে সতর্ক হবার আহ্বান জানিয়েছে।

কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলার এই চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে কার্যত অনড়। বলা হচ্ছে, তিনি চুক্তির একটা কাঠামো দিয়েছেন যাতে এই বিনিয়োগের অঙ্ক এবং বন্দরের যে অংশ চীনকে দেওয়া হবে তার আকার কমিয়ে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ-এ নামিয়ে এনেছেন, যাতে চীনের প্রভাব কম থাকে।

কিন্তু কেন এই চুক্তির ব্যাপারে শোলৎজ এতটা বদ্ধপরিকর সে ব্যাপারে কেউই নিশ্চিত নয়। শোলৎজ একসময় হামবুর্গের মেয়র হিসেবে কাজ করেছেন এবং নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। তার যুক্তি হল, এই চুক্তির ফলে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিনিয়োগ আসবে।

তবে অনেক বিশ্লেষকের সন্দেহ, এই চুক্তিটি সম্পাদনের ব্যাপারে শোলৎজ যেভাবে চাপ দিয়েছেন তার পেছনে একটা কারণ হল তিনি শি জিনপিংএর জন্য একটা ‘উপহার’ ছাড়া খালি হাতে বেইজিংএ যেতে চাননি। আর সে কারণেই অনেকে বিস্ময় এবং উষ্মা প্রকাশ করছেন।

আরও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে জার্মান চ্যান্সেলার তার সঙ্গে করে জার্মানির বড় বড় ব্যবসায়ীদের চীনে নিয়ে যাবার কারণে। বিবিসি