ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কয়লার অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে ইটভাটা

কয়লার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। প্রতি টন কয়লার দাম ১০/১১ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়লার মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছে ইটভাটাসহ কয়লা ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান। সিন্ডিকেট করে কয়লার দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে যে পরিমাণ কয়লা মজুত আছে তা দিয়ে এক মাসের চাহিদা মেটানো যাবে না। গত কয়েক মাসের মধ্যে কয়লা আমদানি কম হয়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়ে গেছে। ফলে আমদানি না বাড়লে সামনে কয়লার দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কয়লার মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার বেড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়লা আমদানি হয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে ডিলারের মূল্যবৃদ্ধিতে কয়লা আমদানিও কম হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রায় চার শতাধিক ইটভাটা চালু রয়েছে। এসব ইটভাটায় দৈনিক প্রচুর কয়লার চাহিদা থাকে। কিন্তু ইটভাটা মালিকরা চাহিদা অনুপাতে কয়লা সরবরাহ পাচ্ছেন না। আবার মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইটভাটাগুলোতে কয়লার ব্যবহার কম হচ্ছে। ফলে অনেক ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

ইটভাটার মালিকরা জানান, কয়েক মাস আগেও প্রতি টন কয়লার দাম ছিল ৭/৮ হাজার টাকা। এর থেকে বেড়ে প্রতিটন ২০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। এখন দাম আরো বেড়ে প্রতিটন ২৭ থেকে ২৯ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়লার অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে কয়লা ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে আমদানি না বাড়লে সামনে সংকট আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে বাণিজ্যিক গুদামগুলোতে আমদানি করা কয়লা মজুত রাখা হয়। কিন্তু আমদানি কম হওয়ায় গুদামগুলোতে বর্তমানে মাত্র ৭/৮ হাজার টন কয়লা মজুত আছে।

ইটভাটার মালিক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, গত কয়েক মাস যাবৎ কয়লার দাম বেড়ে গেছে। আমার ইটভাড়ায় দৈনিক ১ টনের মতো কয়লার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কয়লার দাম দফায় দফায় বাড়তে বাড়তে এখন প্রতিটন ২৮/২৯ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের জ্বালানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে ইটের দামও বেড়ে যাবে।’

ইটভাটার মালিক সরওয়ার কোম্পানি বলেন, সিন্ডিকেট করে কয়লার দাম বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে কয়লা নিয়ে দুইটি জাহাজ বহির্নোঙরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের দুইটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এসব কয়লা আমদানি করেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে ইটভাটার সংখ্যা খুবই কম। লাইসেন্স দেন জেলা প্রশাসন। আমরা ছাড়পত্র দিই। অভিযান পরিচালনা করতে কয়েক সংস্থার সমন্বয়ে করতে হয়। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’