ঢাকা, শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গারো ওয়ানগালা উৎসবের উদ্বোধন করলেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

নতুন ফসল ঘরে তুলতে নানা উৎসবের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তাকে উৎসর্গ করে পালিত হচ্ছে গারো সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা উৎসব বা গারো নবান্ন উৎসব। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় বসবাসরত গারো সম্প্রদায়ের উদ্যোগে  ঢাকার লালমাটিয়ায়, লালমাটিয়া হাউজিং সোস্যাইটি স্কুল  ও কলেজ মাঠে আয়োজন করা হয়েছে দুই দিনব্যাপী ঢাকা ওয়ানগালা ২০২২ । ডাক ও টেলিযোগাযোাগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা ওয়ানগালার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের প্রধানতম উৎসব হলেও এ ধরনের  অনুষ্ঠান সমাজে সকল মানুষের মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি করবে। প্রকৃতি ও সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা তৈরিতে মানুষের বিবেক জাগ্রত করবে। গারোসহ সকল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার খুবই আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছিল, তেমনি এখন সবাই মিলে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে যাতে সারা বিশ্বে আমরা গর্বিত জাতি হিসেবে নিজেরেদরকে পরিচিত করাতে পারি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত জাতি রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা গর্বিত। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের  ২৮টি পাড়া কেন্দ্রকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে শিশুদের জন্য  ডিজিটাল পাঠশালায় রূপান্তর করেছি। তিনি  পশ্চাদপদ অন্যান্য দুর্গম অঞ্চলে শিশুদের জন্য অনুরূপ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, বাংলাদেশে আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন. বাংলাদেশ আদিবাসি ফোরামের সাধারণ সম্প্রাদক সঞ্জিব দ্রং এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য রেমন্ড আরেং বক্তৃতা করেন।

 এর আগে মন্ত্রী প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে ঢাকা ওয়ানগালা ২০২২ এর উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী ওয়ানগালা  উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত  স্মরলনিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

ওয়ানগালা উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্য এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বসবাসকারী সমতলের গারো জাতির লোকদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। এটি ওয়ান্না নামেও পরিচিত। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে গারো পাহাড়ে এটি পালিত হয়। ফসল তোলার এই উৎসব সৃষ্টি কর্তার উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়।