ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহত ৬ জনের পরিচয় মিলেছে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ছয়জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে।
এরা হলেন- সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকার শামসুল আলম, ফৌজদারহাট বাংলাবাজার এলাকার মো. ফরিদ, ফটিকছড়ি উপজেলার মো. সেলিম, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া গ্রামের মিকি রেঙি লখরেটের ছেলে রতন লখরেট, নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার অলিপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবদুল কাদের ও লক্ষ্মীপুরের মো. সালাউদ্দিন।

এ ঘটনায় ৬ নিহতের পাশাপাশি দগ্ধ হয়েছেন আরো অন্তত ৪৫ জন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন হলেন- মো. নূর হোসেন, মো. আরাফাত, মোতালেব, ফেনসি, মো. জসিম উদ্দিন, নারায়ণ, মো. ফোরকান, শাহরিয়ার, মো. জাহিদ হাসান।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, আমরা দুর্ঘটনাস্থলে অনেক সিলিন্ডার দেখেছি। অনেক সময় সিলিন্ডারগুলো পরীক্ষা করা হয় না। বিস্ফোরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। তদন্তে তা বোঝা যাবে। তবে সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি।

প্ল্যান্টে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণের পর সেখানে যে অবস্থা হয়েছে, তাতে নিরাপত্তা পর্যাপ্ত ছিল কি-না তা বোঝার উপায় নেই।

আবদুল মালেক বলেন, আমরা বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বিস্ফোরণের খবর পাই। প্রথমে কুমিরা ফায়ার স্টেশনের দুটি গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের মোট তিনটি স্টেশনের নয়টি গাড়ি সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলা হয়।

সীতাকুণ্ডের ইউএনও শাহাদৎ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ছয়জন নিহতের খবর পেয়েছি। তাদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টটি অবস্থিত। এ প্ল্যান্টে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে তা বিক্রি করা হতো। সেখানে অর্ধশত শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োজিত ছিলেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গ্যাস ভরার সময় প্ল্যান্টে বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে লেগে যায় আগুন। এ সময় প্ল্যান্টের ভেতরে থাকা শ্রমিক-কর্মচারীর কারো কারো শরীরের বিভিন্ন অংশ উড়ে যায়।

জানা গেছে, কারখানাটিতে উৎপাদিত অক্সিজেন এক সময় কোম্পানির জাহাজভাঙা ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার কাজে ব্যবহৃত হতো। তবে ২০১৯ সালের পর কোম্পানির জাহাজভাঙা কারখানা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এখন উৎপাদিত অক্সিজেনের প্রায় পুরোটাই অন্য কারখানার কাছে বিক্রি করা হয়। সামান্য পরিমাণ অক্সিজেন কোম্পানির সীমা অটোমেটিক স্টিল রি-রোলিং মিলে ব্যবহৃত হয়।