ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : দ্বিতীয় দিনে উদ্ধারকাজ শুরু

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
রোববার সকালে এ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম দিনের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

জানা গেছে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে। বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ হয়েছেন আরো অন্তত ৪৫ জন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতরা হলেন- সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকার শামসুল আলম, ফৌজদারহাট বাংলাবাজার এলাকার মো. ফরিদ, ফটিকছড়ি উপজেলার মো. সেলিম, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া গ্রামের মিকি রেঙি লখরেটের ছেলে রতন লখরেট, নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার অলিপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবদুল কাদের ও লক্ষ্মীপুরের মো. সালাউদ্দিন।

আহতদের মধ্যে ৯ জন হলেন- মো. নূর হোসেন, মো. আরাফাত, মোতালেব, ফেনসি, মো. জসিম উদ্দিন, নারায়ণ, মো. ফোরকান, শাহরিয়ার, মো. জাহিদ হাসান।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট হওয়া আগুন এক ঘণ্টা ১০ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে পাশে থাকা বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতো কিছুর পরও কারখানার মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযানে মালিকপক্ষের কেউ সহায়তা করেনি। তথ্য দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলেও তাদের কেউ আসেননি।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ডিডি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, কারখানাটিতে অক্সিজেন উৎপাদন করা হয় এবং সিলিন্ডার রিফিল করা হয়। দুটি কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটি। ব্যবস্থাপনার কারণেও দুর্ঘটনা হতে পারে। তদন্ত শেষে স্পষ্ট করে বলা যাবে।

এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিতে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর চট্টগ্রামের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।