ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

গুলিস্তানে বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

গুলিস্তানের ভবনটিতে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এটিও সায়েন্স ল্যাব এলাকার বিস্ফোরণের ঘটনার মতোই।

ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৮ জন হয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৩ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। হতাহত আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিহতরা হলেন- ১. মো. সুমন, ১ নং সুরি টোলা, বংশাল ঢাকা, গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা থানা। ২. মো. ইসহাক মৃধা, কাজির হাট, বরিশাল। ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ৩. মো. মুনসুর হোসেন, পশ্চিমপাড়া যাত্রাবাড়ী। ৪. মো. ইসমাইল, ৯৭ লুৎফর রহমান লেন, আলু বাজার। ৫. মো. আল আমিন, পশ্চিম লালপুর, মতলব, চাঁদপুর। আলামিন বিবিএ শিক্ষার্থী বলে তার ভাই হাবিবুর রহমান জানান। ৬. মো. রাহাত হোসেন, মাস্টার বাড়ি, দক্ষিণ চুনকুটিয়া, কেরাণীগঞ্জ। ৭. মমিনুল ইসলাম, ১১৫/৭/৫ ইসলামবাগ, চকবাজার। ৮. নদী বেগম, ১১৫/৭/৫ ইসলামবাগ, চকবাজার থানা। ৯. মো. মাঈন উদ্দিন, গ্রাম-সৈয়দপুর, মুন্সীগঞ্জ সদর। ১০. নাজমুল হোসেন, ৪৭ নং কে পি ঘোষ স্ট্রিট, বংশাল। ১১. ওবায়দুল হাসান বাবুল, চর বেউথা গ্রাম, মানিকগঞ্জ সদর। ১২. আবু জাফর সিদ্দিক, মুন্সীগঞ্জ, গজারিয়া, বালুয়া কান্দি। ১৩. আকুতি বেগম, ১৮/১ আগামাসি লেন, বংশাল। ১৪. মো. ইদ্রিস, মীর হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী। ১৫. নুরুল ইসলাম ভূইয়া, মাতুয়াইল, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। ১৬. মো. হৃদয়, সিদ্দিক বাজার জাবেদ গলি, বংশাল। ১৭. মো. সম্রাট। ১৮ মোহাম্মদ সিয়াম।

মঙ্গলবার বিকেলে গুলিস্তান বিআরটিসির বাস কাউন্টারের পাশে সিদ্দিক বাজারের সাততলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে উদ্ধার কাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, সাততলা ভবনের নিচতলায় স্যানিটারির দোকান ছিল। নিচতলায় বিস্ফোরণ ঘটে উপরের কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আশপাশের বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।