ঢাকা, সোমবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভোটের মধ্যদিয়েই সরকার গঠন হবে, এটাই গণতন্ত্রের মূলনীতি: শেখ হাসিনা

 

দেশবাসীকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্র হাতে নয়, রাতের অন্ধকারেও নয়, ভোটের মধ্যদিয়ে আগামী সরকার গঠন হবে বাংলাদেশে।

তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালের নামে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ক্ষমা নেই। দেশের মানুষ তাদেরকে ক্ষমা করবে না। তারা মানুষের অভিশাপ পাবে।

শুক্রবার বিকালে তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস ও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিকাল সোয়া তিনটার দিকে কার্যালয় আসেন দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা। এরপর ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জামায়াত নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচন করতে দেবে না বলে আগেও আগুন দিয়েছে এখনো দিচ্ছে। আগুন সন্ত্রাস ও আগুন নিয়ে খেলা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। দেশের মানুষ তাদেরকে প্রতিহত করবে।

দেশের মানুষ নির্বাচন বানচাল করতে দেবে না।

তিনি বলেন, দেশে অনেকেই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেনি।

আওয়ামী লীগ বাদে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা শ্রমিকদের জন্য কী করেছে? যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচালের নামে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ক্ষমা নেই। দেশের মানুষ তাদেরকে ক্ষমা করবে না।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচন বানচালের নামে তাদের এসব কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না।

আদালতের রায়ে দণ্ডিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দলের নেতাই নাই, মুণ্ডুহীন দল, তার হুকুমে মানুষের ক্ষতি যারা করছে বাংলাদেশে, জীবন্ত মানুষ পোড়াচ্ছে তারা এই দায়িত্বটা নিচ্ছে কেন। খালেদা ও তারেক জিয়া নির্বাচন করতে পারবে না। এ জন্য তারা নির্বাচন চায় না। যারা এ ধরনের হুকুমে মানুষের ক্ষতি করে, তারা তো মানুষের অভিশাপ পাবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করে, তাদের ওপর মানুষ কেন আস্থা রাখবে। তারা ঘাতক হিসেবে পরিচিত। নির্বাচন জনগণের অধিকার। যাকে ভোট দিয়ে জনগণ নির্বাচিত করবে, তারা দেশ চালাবে।

বক্তব্যে অগ্নিসংযোগকারীদের ধরিয়ে দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, টানা ক্ষমতায় থেকে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের দরজা সবার উন্মুক্ত। সবাইকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাই। বিএনপির আমলে ভোটই দিতে পারেনি মানুষ। জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে।

‘নির্বাচন কমিশন আগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীনে ছিল। সেটাকে আমরা স্বাধীন করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন নিয়ম মেনে নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশবাসীর সহযোগিতা চাই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত যারা হবে তারাই ক্ষমতায় আসবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। যখনই পণ্য মূল্য বেড়েছে আমরা ভর্তুকি দিয়ে তারা মানুষের কাছে তুলে দিচ্ছি। পাশাপাশি এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যার যেখানে জমি আছে সম্ভব সেখানে চাষ করুন।