ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এশিয়ার ‘মাদক সম্রাট’ গ্রেপ্তার

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মাদক অপরাধী দলের কথিত প্রধান তিসি চাই লপকে গ্রেপ্তার করেছে নেদারল্যান্ডসের পুলিশ। অস্ট্রেলিয়ার জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে রোববার জানিয়েছে বিবিসি।

চীনে জন্ম নেওয়া কানাডার নাগরিক চাই লপ এশিয়াজুড়ে সাত হাজার কোটি মার্কিন ডলারের অবৈধ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকারী ‘দ্য কোম্পানির’ প্রধান। মাদক কারবারের ব্যাপকতার কারণে তাকে মেক্সিকোর মাদক সম্রাট ‘এল চ্যাপো’ গুজম্যানের সঙ্গে তুলনা করা হয় এবং এশিয়ার মাদক সম্রাট হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।

অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের বিশ্বাস, তাদের দেশে প্রবেশ করা মাদকের ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী ‘স্যাম গোর সিন্ডিকেট’ নামে পরিচিত দ্য কোম্পানি।

৫৬ বছর বয়সী এই মোস্ট ওয়ান্টেড আসামিকে শুক্রবার আমস্টার্ডামের শিপোল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, এক দশকের বেশি সময় ধরে চাই লপকে অনুসরণ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। শুক্রবার কানাডাগামী একটি বিমানে ওঠার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এক বিবৃতিতে নেদারল্যান্ডসের পুলিশ বলেছে, ‘ইতোমধ্যে সে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ২০১৯ সালে চাই লপকে নিয়ে একটি বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ওই সময় তাকে ‘এশিয়ার মোস্ট ওয়ান্টেড ম্যান’ বলে বর্ণনা করা হয়েছিল।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চাই লপের সিন্ডিকেট ২০১৮ সালে শুধু মেথামফেটামিন বিক্রি করে এক হাজার ৪০০ কোটিন ডলারের মতো আয় করেছিল। অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের নেতৃত্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০টি সংস্থা তাকে গ্রেপ্তারের উদ্যোগে যুক্ত ছিল। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন কুংগুর’।