
গুলশান-২ নম্বরে ভবনে আগুনে দুজন নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
সোমবার গুলশান থানায় একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের এরিয়া ম্যানেজার মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। রাতে গুলশান থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.আজিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগুনের ঘটনায় যে দুজন মারা গেছেন, সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে থানায়। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান।
মামলার বাদী রাকিব হাসান জানান, আগুন লাগা ভবনটির ফ্ল্যাট নং এ-১২ ও এ-১৩ এর মালিক একমি গ্রুপের ডিরেক্টর ফাহিম সিনহা। ভবনের ৫ম তলায় ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় ফাহিম সিনহা স্যারের বাসায় কর্মরত ছিলেন কেয়ারটেকার আনোয়ার হোসেন (৩০) ও বাবুর্চি রাজিব পাইরিস রাজু (৩৯)। আগুন লাগার পর তারা কোনো উপায় না পেয়ে জীবন বাঁচাতে এ-১২ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে নিচে সুইমিং পুলে ঝাঁপ দেন।
মামলার বাদী আরো বলেন, পরে তারা সুইমিং পুলে পড়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সেখানে মারা যান।
অন্যদিকে রাজিব পাইরিস রাজুকে উদ্ধার করে শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে তিনিও সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটের দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডে ১২ তলা আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে রাত ১১টার দিকে।
ভবনটিতে আটকে পড়া ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন দমকলকর্মীরা। তাদের মধ্যে ১২ জন নারী, ৯ জন পুরুষ ও একটি শিশু রয়েছে। আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন মারা গেছেন।
বিষয়টি তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।