ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের রাশেদ তুরস্কে ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী’ হলেন

বাংলাদেশের সুনাম গোটা বিশ্বে বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এবার আরও একটি পালক যুক্ত হয়েছে। আর সেই সাফল্যের নায়ক হলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সাইয়েদ রাশেদ হাসান চৌধুরী।

তুরস্কের ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী’ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের সাইয়েদ রাশেদ হাছান চৌধুরী। দেশটির রাষ্ট্রপতি রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান তার হাতে সনদ তুলে দেন।

সম্প্রতি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় তুর্কি স্কলারশিপপ্রাপ্তদের ৮ম কনভোকেশনের আয়োজন করা হয়। এতে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইয়েতেবে প্রধান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

রাশেদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে। তিনি মাতাব্বরনগর দারুসুন্নাহ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আলী হোছাইনের ছেলে।

বাংলাদেশের কৃতী সন্তান রাশেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে অনার্স ও মাস্টার্সে ডিন’স মেরিট লিস্ট অব অনার ও ডিন’স মেরিট লিস্ট অব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়ে ২০১৬ সালে তুরস্কের সরকারি স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান। তিনি আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষার প্রথম পর্বে ফ্যাকাল্টিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। বলা যায়, সবাইকে তিনি তাক লাগিয়ে দেন।

জানা গেছে, স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সর্বোচ্চসংখ্যক জিপিএ (৪) পেয়ে সাইয়েদ রাশেদ হাছান চৌধুরী শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী মনোনীত হন। তুরস্কের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে তিনি স্নাতকোত্তর সনদ ও বিশেষ উপহার গ্রহণ করেছেন। এ সময় উত্তরোত্তর একাডেমিক সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে মেধাশক্তিকে কাজে লাগাতে পরামর্শ দেন তুর্কি রাষ্ট্রপতি।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তুরস্কের খিরশেহিরে ‘ওসমানি সালতানাতের ধর্মীয় ও সংস্কৃতি’ শীর্ষক সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদকও অর্জন করেছিলেন বাংলাদেশের কৃতী সন্তান রাশেদ।

রাশেদ পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখির সঙ্গেও যুক্ত আছেন। রাশেদের গবেষণাকর্ম প্রকাশিত হয়েছে তুরস্ক, জার্মানি, ব্রিটেন, পোল্যান্ড, সাইপ্রাস, নেদারল্যান্ডস এবং হাঙ্গেরির বিভিন্ন জার্নালে। তিনি ইউরোপের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্সেও নিজের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এ বিষয়ে সাইয়েদ রাশেদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘আমার এ সাফল্য বাবা-মার জন্য উৎসর্গ করছি। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।’