বগুড়ার কাহালু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষকদের হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার ২৫০ জন শিক্ষক বুধবার বিকালে শিক্ষা অফিসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুদুর রহমানের কাছে অভিযোগ করেন।
অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত শিক্ষা অফিস দাবি করে শিক্ষকরা বলেন, কাহালু উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের জন্য ছয় ক্যাটাগরিতে সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে ১১৪ স্কুলে সিলিপের ৬২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, পাঁচ স্কুলের প্লেইন এক্সেসাইজের ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১৯ স্কুলের মেরামত বাবদ রাজস্ব খাতের ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১১৪ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক শিশু শ্রেণির ঘর সাজানো বাবদ ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৪১ স্কুলে পিইডিপি-৪ প্রকল্পের ৮২ লাখ টাকা, ৬৩ স্কুলে রুটিন মেইনটেন্সের ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।
শিক্ষকরা বলেন, অনেক স্থানে কাজ না করেও অর্থ ছাড় দেয়া হয়। অথচ আমাদের অর্থ ছাড় দেয়া হচ্ছে না। দিনের পর দিন হয়রানি করা হচ্ছে। শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল আলম বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষিকাদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। কাজ করেও বরাদ্দের টাকা না পাওয়ায় শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়।
আলেয়াসহ কয়েকজন শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, শিক্ষা কর্মকর্তা অযৌতিকভাবে তাদের মানসিক চাপে রাখেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কাহালু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, যেখানে সন্তোষজনক কাজ হয়েছে; সেখানে অর্থ ছাড় দেয়া হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনীত শিক্ষকদের অভিযোগের বিষয়গুলো তিনি করোনাভাইরাসের অজুহাতে এড়িয়ে যান।