
ঠাকুরগাঁও জেলায় ঘোষিত কোনো বালু মহাল না থাকা সত্বেও জেলা সদর, পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল সহ বিভিন্ন উপজেলায়, টাঙ্গন, শুক, তীরনই, ছোট সেনুয়া সহ বিভিন্ন নদী থেকে অবৈধভাবে ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ধুম পড়েছে।
নদী ভাঙন থেকে শুরু করে, রাস্তা ঘাটের সমস্যা সহ নানা সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা, এসব বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও বন্ধ হয়নি বালু খেকোদের অবৈধপন্থায় বালু উত্তোলন। এতে স্থানীয়দের ক্ষোভের শেষ নেই।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের গত কয়েক দিনের অনুসন্ধানে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বালু খেকোদের অবৈধপন্থায় বালু উত্তোলন করতে দেখা যায়। এতে ড্রেজিং এর কারণে সদর উপজেলার মাত্র কয়েক বছর আগে নির্মিত ফেসাডাঙ্গী ব্রিজ এর ধারে বসানো বল্ডার গুলো ধসে পরতে শুরু করেছে। এমনি ভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙনের ফলে দিন দিন তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি সহ রাস্তা-ঘাট। বালু উত্তোলনের ফলে দূর্ভোগে পড়েছে নদী পারের স্থানীয় বাসিন্দারা। বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে এদের ভয়ে মুখ খুলতে চান না অনেকে।
স্থানীয়রা জানান, বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তা দিয়ে ঠিকভাবে চলা ফেরা করা যায় না। কৃষি কাজে ব্যহত হচ্ছে এবং কি ম্যাজিস্ট্রেট আসে জরিমানা করলেও আজ পর্যন্ত বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন।
এমনিতে না হলে, প্রয়োজনে সাজা বৃদ্ধি করে হলেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার চেষ্টা করা হবে বলে জানান, জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুবুর রহমান।