ঢাকা, শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো ফাইভজি

ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রা ত্বরান্বিত করতে ও দেশের সব গ্রাহক যেন পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভজি) মোবাইল প্রযুক্তির অত্যাধুনিক সুবিধা উপভোগ করতে পারে সেজন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে টেলিটক বাংলাদেশ পরীক্ষামূলকভাবে দেশে ফাইভজি সেবা চালু করেছে।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে ‘নিউ ইরা উইথ ৫ জি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এ সেবা চালু করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পরীক্ষামূলক ফাইভজি সেবা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিওবার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ্ এমপি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সাহাব উদ্দিন।

এছাড়া হুয়াওয়ের পক্ষে হুয়াওয়ের আঞ্চলিক প্রধান সিমন লিন ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রাথমিকভাবে হুয়াওয়ে ও নোকিয়ার সহযোগিতায় ছয়টি সাইটে ফাইভজি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। সাইটগুলো যেসব এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে- বাংলাদেশ সচিবালয়, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল।

পরে জেলা পর্যায়ে ফাইভজি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা হবে। আগামী বছরের মধ্যে টেলিটকের ২০০টি সাইটে ফাইভজি নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফাইভজি সাপোর্টেড স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফাইভজি সেবা ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের সিম পরিবর্তন করতে হবে না।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা ফাইভজি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেট গতি, অতি স্বল্প ল্যাটেন্সি, ভার্চুয়াল বা অগমেন্টেড রিয়েলিটি সার্ভিসগুলোর ওপর অভিজ্ঞতা নেন। ফোরজি সেবার তুলনায় ফাইভজির গতি প্রায় ২০ গুণ বাড়বে এবং ল্যাটেন্সি ১০ ভাগের ১ ভাগে কমে আসবে। ফাইভজি সেবা দেওয়ার জন্য টেলিটক বিটিআরসি থেকে ৬০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে।